"বাংলাদেশি রান্না"

এ ব্লগটিতে আপনারা আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রচলিত খাবার, পাণীয়,পিঠা সহ বিভিন্ন অনুষ্টানে বিয়ে, ঈদ, রমজান, পূজায় সচরাচর যে সকল খাবার রান্না করা হয় সে সব খাবারের রেসিপি পাবেন।

সোমবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১১

হোয়াইট সস পাস্তা।

উপকরণঃ
পাস্তার জন্য: সেদ্ধ পাস্তা দুই কাপ, ব্রকলি একটি সেদ্ধ, মাশরুম সাত-আটটি দুই টুকরো করে সেদ্ধ, লবণ, মোজেরেলা চিজ।
হোয়াইট সসের জন্যঃ
দুধ এক কাপ, মাখন এক টেবিল-চামচ, ময়দা দুই টেবিল-চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া এক চা-চামচ।
প্রণালিঃ
প্রথমে হোয়াইট সস বানাতে কড়াইয়ে মাখন গলাতে হবে আঁচ কম করে। এতে ময়দা দিয়ে নাড়ুন। আস্তে আস্তে দুধ ঢেলে দিন। কম আঁচে নাড়তে নাড়তে ঘন হয়ে এলে গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে দিন। এবার ঠিক পরিবেশনের আগে চুলায় হোয়াইট সস, পাস্তা, ব্রকলি, মাশরুম, মোজেরেলা চিজ, লবণ দিয়ে দিন। গরম গরম পরিবেশন করতে হবে। না হলে জমাট বেঁধে যাবে।

রবিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১১

স্প্যাগেটি বোলোনিস।

উপকরণঃ
কিমা দুই কাপ সেদ্ধ, স্প্যাগেটি (লম্বা নুডলসের মতো) সেদ্ধ আধা প্যাকেট। অলিভ অয়েল, রসুন কুচি, টমেটো পেস্ট (বা পুরি)। মাশরুম সাত-আটটি অর্ধেক করে কাটা। শুকনা মরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ। ইতালিয়ান পাস্তা হার্ব মিক্স এক চা-চামচ। (এতে বেসিল, পার্সলি, রোজমেরি, অরিগানো, থাইমসহ কিছু হার্বস থাকে)।
প্রণালিঃ
অলিভ অয়েল গরম করে রসুন কুচি দিয়ে দিন। একে একে কিমা, মাশরুম, টমেটো পেস্ট দিয়ে অল্প পানি দিয়ে নাড়ুন। একটু তেল ওপরে উঠে এলে মিক্সড হার্বস দিয়ে শুকনা মরিচের গুঁড়া দিয়ে নামিয়ে নিন। পরিবেশনের জন্য প্রথমে বড় প্লেটে স্প্যাগেটি গোল করে দিন। এর ওপরে কিমা সস ঢেলে দিন, তারপর মোজেরেলা চিজ গুঁড়া করে ওপরে সাজিয়ে দিন। পরিবেশনের আগে মাইক্রোওভেনে দুই মিনিট গরম করে নিলে চিজটা গলে যাবে।

মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১১

প্রন স্যুপ।

উপকরণঃ
খোসা ছাড়ানো চিংড়ি আধা কাপ, গমের আটা ৩ টেবিল-চামচ, স্বাদ লবণ ১ চা-চামচ, পাতলা দুধ আধা কাপ, টমেটো সস ১ টেবিল-চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি, লবণ ও চিনি পরিমাণমতো, সয়া, প্রন ও ক্যারামেল পাউডার ১ টেবিল-চামচ করে, সিরকা ১ চা-চামচ, এক চিমটি সরিষার গুঁড়া, পানি ৩ কাপ, ধনে পাতা অল্প পরিমাণ।
প্রণালিঃ
চিংড়ি কুচি করে কেটে অল্প স্বাদ লবণ, সিরকা ও লবণ দিয়ে ১০ মিনিট রাখতে হবে। এবার ধনে পাতা ছাড়া সব উপকরণ একসঙ্গে পানিতে গুলিয়ে চুলায় দিয়ে অনবরত নাড়তে হবে। ৭ থেকে ৮ মিনিট রান্না হলে স্যুপ এমনিতেই ঘন হয়ে আসবে। তখন ধনে পাতা দিয়ে নামাতে হবে।

সোমবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১১

কর্ন স্যুপ।

উপকরণঃ
কর্নফ্লাওয়ার ৪ টেবিল-চামচ, সুইট বেবিকর্ন ১ কাপ, স্বাদ লবণ ১ চা-চামচ, সয়া প্রোটিন ও চিকেন পাউডার ২ টেবিল-চামচ করে, পাতলা দুধে গোলানো ডিম ১টা, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ, ধনে পাতা, গোলমরিচের গুঁড়া সামান্য, পানি বড় কাপের ২ কাপ, লেবুর রস আধা চা-চামচ।
প্রণালিঃ
বেবিকর্ন সামান্য পানি দিয়ে ১ মিনিট ভাপিয়ে নিতে হবে। এরপর লেবুর রস ও ডিম ছাড়া সবকিছু পানিতে গুলিয়ে চুলায় মাঝারি আঁচে ৮ থেকে ৯ মিনিট রান্না করতে হবে। স্বাদ অনুযায়ী ঘন হয়ে এলে একটু ওপর থেকে গোলানো ডিম এক হাতে ছাড়তে হবে, অন্য হাতে অনবরত নাড়তে হবে। তা না হলে ডিম দলা পাকিয়ে যাবে। ডিম দেওয়ার পর এই স্যুপ দেখতে খুব ভালো হয়। এরপর ওপরে লেবুর রস দিয়ে নামাতে হবে।

শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১১

সবজির স্টু।

উপকরণঃ
গাজর, আলু, ফুলকপি, টমেটো একটু বড় করে কাটা ৩ কাপ, মটরশুঁটি ও বরবটি আধাকাপ করে, আস্ত গোলমরিচ ১ টেবিল-চামচ, এলাচ ও দারচিনি ৩ থেকে ৪টা করে, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল-চামচ, বড় করে কাটা পেঁয়াজ ১ কাপ, সয়াবিন তেল ১ টেবিল-চামচ, মাখন ৫০ গ্রাম, চিনি, লবণ ও কাঁচা মরিচ কুচি স্বাদমতো, পানি প্রয়োজনমতো, পাতলা দুধে কর্নফ্লাওয়ার গোলানো ৩ টেবিল-চামচ, লেবুর রস আধা চা-চামচ।
প্রণালিঃ
সব সবজি ২ থেকে ৩ মিনিট ভাপিয়ে নিতে হবে। তেল গরম করে এলাচ, দারচিনি ও পেঁয়াজ কুচি ভেজে সব সবজি একটু হালকা আঁচে ভাজতে হবে। এরপর বড় করে কাটা পেঁয়াজ, টমেটো ও গোল মরিচ দিয়ে রান্না করতে হবে। সবজি যেন পানিতে ডুবে থাকে, এমন পরিমাণে পানি দিতে হবে। ১০ থেকে ১২ মিনিট পর সবজি সেদ্ধ হলে চিনি, লেবুর রস, স্বাদমতো লবণ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে আরও একটু দমে রাখতে হবে। দুধে কর্নফ্লাওয়ার গুলিয়ে সবজিতে দিতে হবে। থকথকে হয়ে এলে ওপরে মাখন দিয়ে নামাতে হবে। এই রান্নায় লবণ পরে দিলে সবজির রং ঠিক থাকবে। ইচ্ছা হলে ক্যাপসিকাম দেওয়া যাবে।

বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১১

চিকেন স্যুপ।

উপকরণঃ
মুরগির কিমা ১ কাপ, গমের আটা অথবা কর্নফ্লাওয়ার ৩ টেবিল-চামচ, চিকেন স্টক ৩ কাপ, কুচি করা গাজর ২ টেবিল-চামচ, কচি মটরশুঁটি আধা কাপ, সয়াসস ১ চা-চামচ, টমেটো সস ১ টেবিল-চামচ, স্বাদ লবণ ১ চা-চামচ, সিরকা ১ চা-চামচ, চিনি, লবণ, কাঁচা মরিচ কুচি স্বাদমতো। চিকেন পাউডার ১ টেবিল-চামচ, গোল মরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ।
প্রণালিঃ
কিমায় সয়াসস, গোল মরিচের গুঁড়া, সিরকা ও লবণ দিয়ে ১০ থেকে ১২ মিনিট রাখতে হবে। কিমা ২ থেকে ৩ মিনিট ভাপিয়ে নিতে হবে, যাতে কাঁচা গন্ধ না আসে। এবার স্টকে সবকিছু মিলিয়ে মাঝারি আঁচে ৮ থেকে ১০ মিনিট রান্না করতে হবে। পছন্দমতো ঘন হলে ধনে পাতা দিয়ে নামাতে হবে।

মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১১

খেজুর গুড়ের শাহি টুকরা।

উপকরণঃ
পাউরুটি ৬ টুকরা, সয়াবিন ও ঘি (অল্প), দুধ, গুড়, বাদাম, কিশমিশ ও জাফরান।
প্রস্তুত প্রণালিঃ
সয়াবিন ও ঘি (অল্প) দিয়ে সোনালি করে ভেজে নিতে হবে। দুধে চিনি দিয়ে জ্বাল দিন। এতে সিকি কাপ গুড় (কুচি করা) মিলিয়ে ঘন করে ১ কাপ করে নিতে হবে। অন্য পাত্রে ১ পোয়া বা ১ কাপ দুধে ১ টেবিল-চামচ গুড় দিয়ে জ্বাল করে রাখতে হবে। ভাঁজা রুটি দুধে ভিজিয়ে সার্ভিং ডিশে সাজিয়ে ওপরে ঘন দুধের মিশ্রণ ঢেলে বাদাম, কিশমিশ ও জাফরান দিয়ে পরিবেশন।

নতুন গুড়ের ফিরনি।

উপকরণঃ
দুধ ১ লিটার, পানি ১ কাপ, পোলাওয়ের চাল ১ মুঠ (২ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে আধা ভাঙা করে নিতে হবে), গুড় (কুচি কুচি করে নেওয়া) আধা কাপ, মাওয়া আধা কাপ (নামানোর আগে), নারকেল কুড়ানো আধা কাপ, বাদাম সাজানোর জন্য।
প্রস্তুত প্রণালিঃ
দুধ ও পানি জ্বাল দিয়ে নিন। বলক এলে অল্প অল্প করে চাল দিয়ে নেড়ে নেড়ে মিলিয়ে নিতে হবে। চাল ও দুধের মিশ্রণ যেন দলা না হয়। এবার এতে নারকেল মিশিয়ে অল্প আঁচে নেড়ে নেড়ে চাল সেদ্ধ করে নিতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে ১ টেবিল-চামচ চিনি দিয়ে জ্বাল করে গুড় মেলাতে হবে। গুড় মিলিয়ে নেড়ে নেড়ে ঘন হয়ে এলে মাওয়া মিশিয়ে নামাতে হবে।

সোমবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১১

খেজুর গুড়ের প্যানকেক।

উপকরণঃ
ময়দা ২ কাপ, বেকিং পাউডার ১ টেবিল-চামচ, গুড় (কুচি করা) আধা কাপ, দুধ ২ কাপ, লবণ ১ চা-চামচ, ডিম ২টি, সয়াবিন তেল ৩ টেবিল-চামচ।
প্রস্তুত প্রণালিঃ
ময়দা, বেকিং পাউডার ও লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। দুধে গুড় ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। ডিম ফেটে নিয়ে দুধের মিশ্রণে মেশাতে হবে। দুধে ময়দার মিশ্রণ মিশিয়ে প্যানকেকের গোলা বানাতে হবে। ২ ঘণ্টা রেখে পরে বানাতে হবে। ননস্টিক প্যানে ১ চামচ করে গোলা দিয়ে প্যানকেক বানিয়ে নিতে হবে। এই প্যানকেক বাচ্চাদের টিফিন দিন, নাশতায় চা বা কফির সঙ্গে খান। মিষ্টি যে যেমন খাবেন, সেই হিসাবে দিতে হবে। প্যানকেক অল্প আঁচে ঢাকনা দিয়ে বানাতে হবে। এক পিঠে রং ধরলে উল্টে দিতে হবে।

শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১১

সয়া-সবজির মিশ্র পোলাও।

বাজারে পাওয়া যাচ্ছে দেশি-বিদেশি নানা রকম সবজি। সবজির সঙ্গে মাছ, মাংস মিশিয়ে একটু ভিন্ন ধাঁচে রান্না করতে পারেন। দেখুন শাহানা পারভীনের দেওয়া রান্নাগুলো। 
উপকরণঃ
সয়াবড়ি ১০০ গ্রাম (বাজারে কিনতে পাওয়া যায়) হাড়সহ গরুর মাংস ১ কেজি, ফুলকপি আধা কাপ, ব্রকলি আধা কাপ, গাজর আধা কাপ, মটরশুঁটি আধা কাপ, বাসমতী চাল ৩০০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, পেঁয়াজবাটা ২ টেবিল-চামচ, আদাবাটা ১ টেবিল-চামচ, রসুনবাটা আধা চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, ধনে গুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরা গুঁড়া আধা চা-চামচ, দারুচিনি ২-৩ টুকরা, এলাচি ৩-৪টি, লবঙ্গ ৪-৫টি, গোলমরিচ ১০-১২টি, তেজপাতা ২টি, তেল/ঘি ১ কাপ, কাঁচামরিচ ৬-৭টি, লবণ স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালিঃ
সয়াবড়ি গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে ঘিতে হালকা ভেজে নিতে হবে। মাংস ছোট টুকরা করে কেটে ধুয়ে নিয়ে সব বাটা ও গুঁড়া মসলা মাখিয়ে ৩০ মিনিট রাখতে হবে। হাঁড়িতে তেল/ঘি, পেঁয়াজ কুচি, গরম মসলা, তেজপাতা ভেজে মাংস ঢালতে হবে। মাংস ভালো করে নেড়ে ঢেকে দিতে হবে। মাঝেমধ্যে নেড়ে দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। পরিমাণমতো পানি দিয়ে সেদ্ধ করে ভুনা ভুনা করে তাতে সব সবজি দিয়ে মসলা থেকে মাংস-সবজি আলাদা করে তুলে রাখতে হবে। এবার চাল ধুয়ে মসলার হাঁড়িতে ঢেলে নাড়াচাড়া করে ২-৩ কাপ গরম পানি ও লবণ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ভাত ফুটে উঠলে কিছু ভাত ওপর থেকে তুলে মাংস ও সবজি ছড়িয়ে দিয়ে আবার ভাত দিয়ে ওপরে কাঁচামরিচ ফালি ও সয়াবড়ি দিয়ে ১৫-২০ মিনিট দমে রাখতে হবে। গরম গরম পরিবেশন করা যায়।

বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১১

সবজি ও কিমার দম।

উপকরণঃ
ব্রকলি ১ কাপ, ফুলকপি ১ কাপ, বাঁধাকপি ১ কাপ, পেঁপে ১ কাপ, গাজর আধা কাপ, বরবটি আধা কাপ, মটরশুঁটি আধা কাপ, সয়াবিন আধা কাপ, পেঁয়াজ ১ কাপ, (ভাঁজ খোলা) কাঁচামরিচ (বিচি ছাড়া) ৬-৭টি, মুরগির মাংসের কিমা ১ কাপ, চিংড়ি মাছের কিমা আধা কাপ, টক দই ২ টেবিল-চামচ, রসুন কুচি ২ কোয়া, কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ, মাখন ২ টেবিল-চামচ, তেল ২ টেবিল-চামচ, লবণ স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালিঃ
মুরগির কিমা ও চিংড়ির কিমায় টক দই মেখে রাখতে হবে। সব সবজি ধুয়ে পাতলা পাতলা করে কেটে নিতে হবে। ফ্রাইপ্যানে মাখন ও তেল দিয়ে তাতে রসুন কুচি দিতে হবে। এবার কিমা দিয়ে একটু ভেজে নিতে হবে। পেঁয়াজ দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভাজতে হবে। এরপর তাতে সবজি ও লবণ দিতে হবে। সবজি সেদ্ধ হয়ে এলে কাঁচামরিচ, কর্নফ্লাওয়ার ও চিনি দিয়ে দুই-তিন মিনিট দমে রাখতে হবে।

বুধবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১১

শীতের সবজি সালাদ।

উপকরণঃ
গরুর চাকা মাংস আধা কেজি, গাজর কুচি আধা কাপ, শসা কুচি আধা কাপ, বাঁধাকপি কুচি আধা কাপ, পেঁপে কুচি আধা কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, সেদ্ধ ডিম কুচি ১টি, ভাজা বাদাম ১০-১২টি, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল-চামচ, (সিরকায় ভিজিয়ে রাখা) কাঁচামরিচ মিহি কুচি ২টি, ধনেপাতা কুচি ১ চা-চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল-চামচ, চিনি ১ চা-চামচ, সালাদ ড্রেসিং ৪ টেবিল-চামচ, লবণ স্বাদমতো। 
প্রস্তুত প্রণালিঃ
মাংস লবণ-পানিতে প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে পাতলা পাতলা করে কেটে ওপরের সব উপকরণ দিয়ে একসঙ্গে মাখিয়ে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করা যায় মজাদার সবজি সালাদ।

মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১১

সবজি মাংসের ঘুগনি।

উপকরণঃ
সেদ্ধ আলু (আস্ত), সেদ্ধ গাজর, মাশরুম, পেঁয়াজ, মটরশুঁটি, ব্রকলি, ফুলকপি ৫০ গ্রাম করে এবং গোল করে কাটা। মুরগির মাংস ১ কেজি (ছোট করে কাটা), সেদ্ধ ছোলা বা মটর ডাল আধা কাপ, কাঁচামরিচ ৪-৫টি, টমেটো ১টি, ক্যাপসিকাম ১টি, সরিষাবাটা ১ চা-চামচ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, টমেটো সস ১ টেবিল-চামচ, ময়দা ১ টেবিল-চামচ, মুরগির স্টক ১ কাপ, গোল মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, মাখন ও তেল প্রয়োজনমতো।
প্রণালিঃ
ময়দা ও মুরগির স্টক ছাড়া সব উপকরণ দিয়ে মুরগির মাংস ৩০ মিনিট মাখিয়ে রাখতে হবে। একটি কড়াইয়ে মাখন দিয়ে মুরগির মাংস মৃদু আঁচে ঢেকে রান্না করতে হবে। সব সবজি ও ডাল লবণ ও গোলমরিচ দিয়ে মাখিয়ে ১ চা-চামচ মাখন দিয়ে হালকা ভেজে নিতে হবে। মুরগির মাংস সেদ্ধ হলে বাটিতে তুলে রাখতে হবে। বাকি ঝোলের মধ্যে ১ টেবিল চামচ ময়দা ও মুরগির স্টক দিয়ে একটি ব্রাউন সস তৈরি করে সারভিং ডিশে সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ওপরে ঢেলে দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করা যায়।

সোমবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১১

খেজুর রসে ভাপাপিঠা।

নতুন চাল, খেজুর রসের গন্ধে ম-ম গ্রামগুলো। শহরে বসে অবশ্য সেটা তেমন টের পাওয়া যাচ্ছে না। তবু শীতে পিঠাপুলির স্বাদ তো চাই-ই। দেখুন জিনাত নাজিয়ার দেওয়া রান্নাগুলো।

খেজুর রসে ভাপাপিঠা
উপকরণঃ
ঘন খেজুরের রস আধা কাপ, পাতলা খেজুরের রস ২ কাপ, মিহি কুরানো নারকেল ১ কাপ, সেদ্ধ চালের গুঁড়া ২ কাপ, আতপ চালের গুঁড়া আধা কাপ, পানি ১ কেজি, পাতলা পরিষ্কার কাপড় ২ টুকরা, ভাপাপিঠার হাঁড়ি ও বাটি ১টি করে, লবণ এক চিমটি।
প্রস্তুত প্রণালিঃ 
সেদ্ধ ও আতপ চালের গুঁড়া, লবণ ও ঘন রস আস্তে আস্তে দিয়ে মাখাতে হবে, যাতে পুরো মিশ্রণ ঝরঝরে থাকে। খেয়াল রাখতে হবে, যাতে চাকা না হয়ে যায়। তারপর একটা মোটা চালনিতে মিশ্রণটুকু চেলে নিতে হবে। এই মিশ্রণে হালকা হাতে নারকেল মেশাতে হবে। হাঁড়িতে পানি ফুটে উঠলে বাটিতে হালকা হাতে চেপে পিঠা বসাতে হবে। এবার বাটি কাপড়ে মুড়িয়ে ভাপে বসিয়ে চটজলদি কাপড় একটু ফাঁক করে বাটি উঠিয়ে দিয়ে আর একটি পিঠা তৈরি করতে হবে। বাটি ওঠাতে দেরি করলে পিঠা বাটিতে আটকে যাবে। সব পিঠা বানানো হলে ঠান্ডা করে ওপরে ঠান্ডা পাতলা রসে ভিজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার শীতের রসে ভেজানো লাল ভাপাপিঠা।

রবিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১১

নারকেলের তিল পুলি।

উপকরণঃ
পুরের জন্য—কুরানো নারকেল ২ কাপ, ভাজা তিলের গুঁড়া আধা কাপ, খেজুরের গুড় ১ কাপ, আতপ চালের গুঁড়া ২ টেবিল-চামচ, এক চিমটি এলাচ গুঁড়া, দারচিনি ২-৩টা।
খামিরের জন্য—আতপ চালের গুঁড়া ২ কাপ, পানি দেড় কাপ, লবণ স্বাদমতো, ভাজার জন্য তেল দুই কাপ।
প্রস্তুত প্রণালিঃ
কুরানো নারকেলে গুড় দিয়ে ১৫-২০ মিনিট রান্না করতে হবে। একটু শক্ত হয়ে এলে এলাচ, তিল ও চালের গুঁড়া ছড়িয়ে আরও একটু রান্না করতে হবে। তেল উঠে পুর যখন পাকানোর মতো শক্ত হবে, তখন নামিয়ে ঠান্ডা করে লম্বাভাবে সব পুর বানিয়ে রাখতে হবে। এবার চালের গুঁড়া সেদ্ধ করে ভালোভাবে চুলার আঁচ কমিয়ে নাড়তে হবে, যাতে খামিরে কোনো চাকা না থাকে। একটু ঠান্ডা হলে পানি ছিটিয়ে ভালো করে ছেনে রুটি বানাতে হবে। রুটির এক কিনারে পুর রেখে বাঁকানো চাঁদের মতো উল্টে পিঠে আটকে দিতে হবে। এবার টিনের পাত অথবা পুলিপিঠা কাটার চাকতি দিয়ে কেটে নিতে হবে। কিনারে মুড়ি ভেঙে ও নকশা করা যায়। গরম তেলে মচমচে করে ভাজতে হবে। এই পিঠা এয়ারটাইট পাত্রে দুই-তিন দিন রেখে খাওয়া যায়।

বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১১

দুধে ভেজানো হাতকুলি।

উপকরণঃ
ঘন দুধ ৫০০ গ্রাম, রান্না করা নারকেলের পুর ১ কাপ, খেজুরের গুড় মিষ্টি অনুযায়ী, পানি আধা কাপ, আতপ চালের গুঁড়া দিয়ে বানানো সেদ্ধ খামির ১ কাপ, কাজু অথবা পেস্তাবাদাম, কিশমিশ ও গোলাপজল পরিমাণমতো, মাওয়া আধা কাপ, এলাচ গুঁড়া সামান্য।
প্রস্তুত প্রণালিঃ 
হাতে ছোট ছোট পুরির আকারে খামির নিয়ে একটু গর্ত করে তাতে পুর ভরে ভালোভাবে আটকে মুড়ি ভেঙে দিতে হবে। পিঠার মুখ ভালো করে না আটকালে দুধে ভেজালে ভেঙে যেতে পারে। এভাবে সব পিঠা বানানো হলে চুলায় গুড়-পানি দিয়ে ১০ মিনিট ফোটাতে হবে। আস্তে আস্তে ঘন দুধ দিয়ে আরও দু-তিন মিনিট রেখে ধীরে ধীরে অল্প অল্প করে পিঠা ছড়িয়ে দিতে হবে। পিঠা হয়ে গেলে ভেসে উঠবে। সব পিঠা ভেসে উঠলে চুলা বন্ধ করে মাওয়া ও গোলাপজল দিয়ে মাখাতে হবে। এবার পরিবেশন ডিশে ঢেলে ওপরে বাদাম ও কিশমিশ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

বুধবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১১

লাল পুয়াপিঠা।

উপকরণঃ
আতপ চালের গুঁড়া ৩ কাপ, মিহি করে বাটা নারকেল আধা কাপ, ময়দা ১ টেবিল-চামচ, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, খেজুরের গুঁড় মিষ্টি অনুযায়ী, পানি পরিমাণমতো, ডিম ২টি, এক চিমটি লবণ।
প্রস্তুত প্রণালিঃ
তেল ছাড়া সবকিছু মিশিয়ে অন্তত ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এবার তেল গরম হলে গোল চামচে গোলা নিয়ে একটা একটা করে ভেজে তুলতে হবে। এই পিঠা গুড়ের বদলে চিনি দিয়েও করা যায়। চিনি দিয়ে পিঠা বানালে পিঠা দেখতে সাদা হবে।

মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১১

মুগ ডালের নকশি পিঠা।

উপকরণঃ
ব্লেন্ড করা মুগ ডাল আধা কাপ, আতপ চালের গুঁড়া ২ কাপ, দুধ ১ কাপ, পানি আধা কাপ, এলাচ গুঁড়া সামান্য, ঘি ১ টেবিল-চামচ, তেল ২ কাপ।
সিরার জন্য—১ কাপ চিনি, ১ কাপ পানি, দারচিনি ২-৩ টুকরা, এলাচ গুঁড়া অল্প, ময়লা কাটার জন্য ২ টেবিল-চামচ পাতলা দুধ, গোলাপ পানি ১ টেবিল-চামচ।
প্রণালিঃ
ডালে দুধ ও পানি দিয়ে ভালোভাবে ঘুটে নিতে হবে। এবার এলাচ গুঁড়া দিয়ে ঘুটতে হবে। ফুটে এলে চালের গুঁড়া দিয়ে দুই-তিন মিনিট ঢেকে রেখে চুলার আঁচ কমিয়ে ভালোভাবে নাড়তে হবে। ঠান্ডা হলে হাতে ঘি নিয়ে খামির নরম করে ছেনে নিতে হবে। প্রয়োজনে পানি দিয়েও ছানা যাবে। তারপর যেকোনো ছাঁচে বা হাত দিয়ে নকশি করে পিঠা বানাতে হবে। চিনি ও পানি চুলায় দিয়ে ফুটে উঠলে একটু একটু দুধ দিয়ে চিনির ময়লা কেটে সিরা পরিষ্কার করতে হবে। এলাচ ও দারচিনি দিয়ে ঘন করে রাখতে হবে। এখন পিঠা ভেজে গরম গরম সিরায় দিয়ে ওপরে গোলাপজল ছিটিয়ে পরিবেশন করতে হবে মুগডালের নকশি পিঠা।
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...