"বাংলাদেশি রান্না"

এ ব্লগটিতে আপনারা আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রচলিত খাবার, পাণীয়,পিঠা সহ বিভিন্ন অনুষ্টানে বিয়ে, ঈদ, রমজান, পূজায় সচরাচর যে সকল খাবার রান্না করা হয় সে সব খাবারের রেসিপি পাবেন।

মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট, ২০১০

ঈদের দিনে রেশমি সেমাই।

উপকরণঃ
ভাজা সেমাই ২ কাপ, ঘি আধাকাপ, চিনি ২ কাপ, ঘন দুধ ১ কাপ, জাফরান ১ চিমটি, এলাচ ৪ টি, শুকনা ফল ১ কাপ, গুঁড়ো দুধ আধাকাপ ও দারুচিনি ৪ টি।
প্রস্তুত প্রণালিঃ
সেমাই লালচে করে ভেজে মেপে নিতে হবে। গরম পানিতে সেমাই ভাপ দিয়ে ঝরিয়ে নিতে হবে। এবার ননস্টিক হাঁড়িতে ভাপানো সেমাই, চিনি, এলাচ, দারুচিনি ও ঘন দুধ একসঙ্গে মাখাতে হবে। চুলায় অল্প জ্বালে আধা ঘণ্টা ঢেকে দমে রাখতে হবে। ৩০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে গুঁড়ো দুধ, ঘি, শুকনা ফল ও জাফরান ভালোভাবে মিশিয়ে ১০ মিনিট দমে রাখতে হবে। এবার নামিয়ে পরিবেশন করুন। সেমাই যখন দমে থাকবে তখন বারবার ঢাকনা খোলা যাবে না। সময় শেষ হলেই তবে ঢাকনা খুলতে হবে। এবার স্বাদের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০১০

সবজির মুচমুচে পাকোড়া।

উপকরণঃ
লালশাক, পুঁইশাক, ডাঁটাশাক ও কলমিশাক কুচি করা চার কাপ, গাজর ও আলু কুচি করা দুই কাপ, জৈন আধা চা-চামচ, কালিজিরা আধা চা-চামচ, পেঁয়াজকুচি এক কাপ, টেম্পুরা পাউডার বা ময়দা দেড় কাপ, কর্নফ্লাওয়ার দুই টেবিল-চামচ, কাঁচা মরিচ গুড়া করা এক টেবিল-চামচ, ধনেপাতার কুচি চার টেবিল-চামচ, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ প্রয়োজনমতো, মরিচগুঁড়া এক চা-চামচ
প্রস্তুত প্রণালিঃ
শাক ধুয়ে পানি ঝরিয়ে কুচি করে নিতে হবে গাজর ও আলু কুচি করে রাখতে হবে এবার তেল ও বিট লবণ ছাড়া বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে মাখাতে হবে প্রয়োজনে সামান্য পানি দিতে হবে তেল গরম করে পাকোড়া বাদামি করে ভেজে তুলতে হবে সামান্য বিট লবণ ছড়িয়ে সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে

রবিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১০

মুরগির শাসলিক।

উপকরণঃ
মুরগির মাংস দুই কাপ, ডালের পেঁয়াজু ১০ টি, চিংড়ি মাঝারি ১০ টি, আদাবাটা এক চা-চামচ, টমেটো সস দুই টেবিল-চামচ, রসুনবাটা এক চা-চামচ, কাঁচা মরিচ গুঁড়া করা এক টেবিল-চামচ, বিট লবণ আধা চা-চামচ, খাবার লবণ প্রয়োজনমতো, লেবুর রস এক টেবিল-চামচ, চিনি দুই চা-চামচ, সরিষাবাটা এক চা-চামচ, আচারের তেল দুই টেবিল-চামচ, সরিষার তেল ভাজার জন্য, ক্যাপসিকাম কিউব এক কাপ, টমেটো কিউব এক কাপ, পেঁয়াজ কিউব এক কাপ, শসা কিউব এক কাপ, গাজর কিউব এক কাপ, শাসলিক কাঠি ১০টি।
প্রস্তুত প্রণালিঃ
মুরগির মাংস দেড় ইঞ্চি পরিমাণ চার কোনা টুকরা করে নিতে হবে। চিংড়ির লেজের খোসা রেখে বাকি খোসা ও মাথা ছাড়িয়ে ধুয়ে ঝরাতে হবে। ডালবাটা, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা ও সামান্য হলুদ দিয়ে যেভাবে ডালের পেঁয়াজু বানাতে হয় সেভাবে পেঁয়াজু বানিয়ে রাখতে হবে। মুরগি, চিংড়ি, আদা, রসুন, টমেটো সস, কাঁচা মরিচ ক্রাশ করা বিট লবণ, খাওয়ার লবণ, লেবুর রস, চিনি, সরিষাবাটা ও সরিষার তেল দিয়ে মেরিনেট করে আধা ঘণ্টা রাখতে হবে। এবার চুলায় বড় জ্বালে মুরগি সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রান্না করতে হবে। ক্যাপসিকাম, টমেটো, পেঁয়াজ, শসা ও গাজর কিউব অল্প সরিষার তেলে ভাজতে হবে ১ মিনিট। এবার শাসলিক কাঠিতে মুরগি, চিংড়ি, পেঁয়াজু ও সবজিগুলো আচারের তেল দিয়ে ব্রাশ করে পরিবেশন করুন।

শনিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১০

নবরতন মিট বল

উপকরণঃ
গরুর মাংস আধা কেজি, আদা ১ টেবিল-চামচ, গাজর, বরবটি, আলু ও মটরশুঁটি কুচি করা ২ কাপ, রসুন ১ চা-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ, সয়াসস ২ টেবিল-চামচ, ডিম সেদ্ধ ২টি, গোলমরিচ ১ চা-চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ গুঁড়া করা রুচিমতো, পেঁয়াজ বেরেস্তা আধাকাপ, ডিম দুটি, মুড়ির গুঁড়া প্রয়োজনমতো, মুরগির মাংসের টুকরা কয়েকটি, মাখন ১০০ গ্রাম, সাদা তিল পরিমাণমতো লবণ পরিমাণমতো, সয়াবিন তেল প্রয়োজনমতো
প্রস্তুত প্রণালিঃ
মাংস ছোট টুকরা করে কেটে আদা, রসুন, সয়াসস ও লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে চপার মেশিনে চপ করে অথবা বেটে নিতে হবে সবজিগুলো কুচি করে সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে ডিম সেদ্ধ কুচি করে নিতে হবে এবার মাংস সেদ্ধ, সবজি, ডিম, গোলমরিচ, জিরার গুঁড়া, কাঁচামরিচ, মাখন ও মুরগির মাংসের টুকরা সামান্য পানি দিয়ে গুলিয়ে একসঙ্গে ভালোভাবে মাখাতে হবে এখন গোল গোল মিটবল বানাতে হবে ১ কাপ মুড়ির গুঁড়া, ১ টেবিল-চামচ তিল দিয়ে মিশিয়ে রাখতে হবে মিটবলগুলো ডিমে চুবিয়ে মুড়ির গুঁড়ায় গড়িয়ে ডুবো তেলে ভেজে গরম গরম পরিবেশন করুন

শুক্রবার, ২৭ আগস্ট, ২০১০

চটপটি।

উপকরণঃ
চটপটির ডাল ৫০০ গ্রাম, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, আলু সেদ্ধ ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজকুচি এক কাপ, কাঁচা মরিচ-কুচি প্রয়োজনমতো, তেঁতুলের মাড় এক কাপ, ধনেপাতা প্রয়োজনমতো, মরিচগুঁড়ো এক টেবিল-চামচ, চটপটির মসলা প্রয়োজনমতো, আস্ত জিরা আধা চা-চামচ, তেল সিকি কাপ, বিট লবণ এক টেবিল-চামচ, ধনেগুঁড়ো এক টেবিল-চামচ, শশাকুচি এক কাপ, ডিম সেদ্ধ চারটি, টমেটোকুচি এক কাপ, আখের গুড় আধাকাপ।
প্রস্তুত প্রণালিঃ
ডাল, লবণ ও সোডা দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। আলু সেদ্ধ টুকরা করে কেটে ডালের সঙ্গে নিতে হবে। পাত্রে তেল দেওয়ার পর আস্ত জিরার ফোড়ন দিয়ে মরিচগুেঁড়া, ধনেগুঁড়ো, তেঁতুলের মাড়, আধাকাপ আখের গুড় ও বিট লবণ দিয়ে কষিয়ে সেদ্ধ ডাল ও আলু দিয়ে নাড়তে হবে। ভালোভাবে মিশে গেলে লবণ চেখে নামাতে হবে। এবার সার্ভিং পাত্রে নিয়ে রুচিমতো ধনেপাতা, চটপটির মসলা ও তেঁতুলের মাড় মেশাতে হব। সবার ওপরে শসা, টমেটোকুচি ও সেদ্ধ ডিম কুচি করে পরিবেশন করতে হবে।

বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১০

আমের কুলফি।

উপকরণঃ
মিষ্টি আম এক কেজি, কনডেন্সড মিল্ক এক টিন, জেলোটিন দুই টেবিল-চামচ (সিকি কাপ গরম পানিতে গোলানো), ফ্রেশ ক্রিম দুই কৌটা, গুঁড়ো দুধ এক কাপ ।
প্রস্তুত প্রণালিঃ
আমের বোঁটার মাথা কেটে আস্তে আস্তে টিপে টিপে আমের আঁটিটি বের করে আনতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন আমের খোসা ছিঁড়ে না যায়। এবার আমের জুসের সঙ্গে বাকি উপকরণগুলো ব্লেন্ড করে আমের খোসার মধ্যে ঢেলে ডিপফ্রিজে জমাতে হবে। যখন জমে যাবে তখন দুই ভাগ বা চার ভাগ করে কেটে পরিবেশন করতে হবে।

বুধবার, ২৫ আগস্ট, ২০১০

ঈদের দিনে ফালুদা।

উপকরণঃ
ভ্যানিলা আইসক্রিম ২ কাপ, চিলি আধাকাপ, পানি ১ কাপ, গুঁড়ো দুধ ২ কাপ, এসেন্স কয়েক ফোঁটা, নুডলস সেদ্ধ ১ কাপ, মাওয়া ২ টেবিল-চামচ, সাবুদানা সেদ্ধ আধাকাপ, চায়না গ্রাস ১ মুঠো, গোলাপজল আধা চা-চামচ, ফলের শরবত পরিমাণমতো, পেস্তাকুচি ২ টেবিল-চামচ, জেলো পাউডার ১ প্যাকেট, আপেল, কলা ও আঙুর ২ কাপ।
প্রস্তুতি প্রনালীঃ
পানি, দুধ ও চিনি একসঙ্গে জ্বাল দিয়ে ফ্রিজে ঠান্ডা করতে হবে।
নুডলস সেদ্ধ করে ধুয়ে পানিতে ভিজিয়ে ফ্রিজে রাখতে হবে ২ টেবিল-চামচ চিনি দিয়ে। ইচ্ছা করলে আধা ফোঁটা লাল রং ব্যবহার করা যাবে। এতে নুডলসগুলো গোলাপি হবে।
জেলো পাউডার গোলানো: ২ কাপ পানিতে চায়না গ্রাস জ্বাল দিয়ে যখন গলে যাবে তখন জেলো পাউডার দিয়ে গুলিয়ে নিয়ে একটি ট্রেতে ঢেলে ঠান্ডা করতে হবে। যখন জমে যাবে তখন কিউব করে কেটে নিতে হবে। এভাবে ৩ রকম ফ্লেবারের জেলোর কিউব কাটতে হবে।
সাজানো: প্রথমে পাত্রে নুডলস পরে সাবদানা, জেলো কিউব, ফল, ঘন দুধ, আবার জেলো কিউব ও মাওয়া দিতে হবে। এবার আইসক্রিমের স্কুপ দিয়ে ওপরে জেলো কিউব ও শরবত দিয়ে পরিবেশন।

বুধবার, ১৮ আগস্ট, ২০১০

খাসির মাংসের রেজালা।

উপকরণঃ
খাসির মাংস ৩ কেজি, পেঁয়াজ ১ কেজি, আদাবাটা ৩ টেবিল চামচ, রসুনবাটা দেড় টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, কাঁচামরিচবাটা ১ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া (লাল মিষ্টি মরিচ) ১ চা-চামচ, টক দই ১ কাপ, মিষ্টি দই সিকি কাপ, পোস্তদানা বাটা ২ টেবিল চামচ, দারচিনি ৬ টুকরা, এলাচ ৬টি, আস্ত কাঁচামরিচ ৬-৭টি, তেল ১ কাপ, ঘি আধা কাপ
কিভাবে রান্না করবেনঃ
আধা কেজি পেঁয়াজ কুচি করে কেটে নিতে হবে আর আধা কেজি পেঁয়াজ বেটে নিতে হবে। খাসির মাংস বড় টুকরা করে আদা, রসুন, লবণ দিয়ে মেখে রাখতে হবে। তেল, ঘি গরম করে তাতে পেঁয়াজ ভেজে বেরেস্তা করে মাখানো মাংস দিয়ে রান্না করতে হবে। কয়েকটি বলক এলে পেঁয়াজবাটা, হলুদ, মিষ্টি মরিচ, কাঁচামরিচ, টক দই, মিষ্টি দই দিয়ে কষাতে হবে। মাংস তেলের ওপর এলে পোস্তদানা দিয়ে ভালো করে কষিয়ে এলাচ, দারচিনি দিয়ে গরম পানি দিতে হবে। মাংস সেদ্ধ হয়ে তেলের ওপর এলে আস্ত কাঁচামরিচ দিয়ে নামাতে হবে।

মঙ্গলবার, ১৭ আগস্ট, ২০১০

ঈদের দিনের খাবার নবাবি বিরিয়ানি।

উপকরণঃ
খাসির মাংস ২ কেজি, এলাচ ৬টি, লবঙ্গ ৫-৬টি, আনারসের রস ২ টেবিল চামচ, রসুনের রস ১ টেবিল চামচ, তেজপাতা ৪টি, পেঁয়াজের রস ২ টেবিল চামচ, দারচিনি ৬ টুকরা, জাফরান আধা চা-চামচ, টক দই ১ কাপ, লবণ পরিমাণ মতো, সরিষার তেল আধা কাপ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ২ চা-চামচ, চিনি ১ টেবিল চামচ, জয়ত্রি গুঁড়া আধা চা-চামচ।
মাংস প্রস্তুত প্রণালিঃ
মাংস বড় টুকরা করে কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। ওপরের সব উপকরণ দিয়ে মাখিয়ে ৫-৬ ঘণ্টা রাখতে হবে।
উপকরণঃ
পোলাওয়ের চাল ১ কেজি, পেঁয়াজ বেরেস্তা আধা কাপ, মাঝারি আকারের আলু ১০-১২টি, জাফরান ১ চা-চামচ, পেস্তাবাদাম কুচি ৪ টেবিল চামচ, কাজু ১ কাপ, কাঁচামরিচ ১৫-১৬টি, ঘন দুধ ১ কাপ, মিষ্টি আতর ৫-৬ ফোঁটা, ঘি ১ কাপ, মালাই আধা কাপ, দারচিনি ৬ টুকরা, আলুবোখরা ১০-১২টি, এলাচ ৪টি, কিশমিশ ২ টেবিল চামচ, লবঙ্গ ৬টি, কেওড়া ২ টেবিল চামচ।
পোলাও প্রস্তুত প্রণালিঃ
চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে পরিমাণমতো লবণ ও ২ টেবিল চামচ লেবুর রস মাখিয়ে রাখতে হবে। আলু ছিলে সামান্য লবণ মাখিয়ে রাখতে হবে। কেওড়ার পানিতে জাফরান ভিজিয়ে ২০-২৫ মিনিট রাখতে হবে। বিরিয়ানির হাঁড়িতে প্রথমে মাখানো মাংস রাখতে হবে। তারপর আলু দিতে হবে। কাজু ও আলুবোখরা দিতে হবে। কাঁচামরিচ, চাল, গরম মসলা দিতে হবে। কিশমিশ, পেস্তাবাদাম কুচি দিতে হবে। দুধ, মালাই দিতে হবে। ৬ কাপ পানি দিতে হবে। ঘি, জাফরান মিশ্রিত কেওড়ার পানি, মিষ্টি আতর কিছু বেরেস্তা দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে চতুর্দিকে ময়দা মথে আটকিয়ে দিতে হবে। ৫ মিনিট বেশি জ্বালে, ১০ মিনিট মাঝারি জ্বালে, ১৫-২০ মিনিট অল্প জ্বালে রাখতে হবে। ১০-১৫ মিনিট দমে রেখে নামাতে হবে। নবাবি বিরিয়ানি সার্ভিং ডিশে ঢেলে কিছু পেস্তা কুচি ও বেরেস্তা দিয়ে সালাদ ও বোরহানির সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।

সোমবার, ১৬ আগস্ট, ২০১০

চিকেন ভেজিটেবল রোল।

উপকরণঃ
চিকেন কিমা ১ কাপ, গাজরকুচি ২ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, রসুনবাটা ১ টেবিল-চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল-চামচ, হলুদগুঁড়া আধা টেবিল-চামচ, টমেটো সস ১ টেবিল-চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ভাজার জন্য যতটুকু লাগে। প্যান কেক তৈরি করতে লাগবে ময়দা ১ কাপ, আতপ চালের গুঁড়া ১ কাপ, ডিম ১টি, লবণ পরিমাণমতো এবং প্রয়োজনমতো পানি। গ. ভাজার জন্য টোস্টের গুঁড়া ১ কাপ, ফেটানো ডিম ১টি, তেল ভাজার জন্য পরিমাণমতো।
প্রস্তুত প্রণালিঃ
প্রথম উপকরণগুলো দিয়ে একটি পুর তৈরি করে নিতে হবে। বাকি প্যান কেক এর উপকরণ দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। ফ্রাই প্যানে সামান্য তেল দিয়ে এক হাতা করে গোলা ছড়িয়ে দিতে হবে। মাঝখানে পুর দিয়ে রোল তৈরি করতে হবে। গ. উপকরণ দিয়ে ফেটানো ডিম দিয়ে টোস্টের গুঁড়া মেখে ডুবো তেলে বাদামি রং করে ভেজে পরিবেশন করুন।

রবিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১০

দুধ সেমাই।

সেমাই ছাড়া কি ঈদ হয়? সকালের নাশতায় সেমাই তো থাকবেই।
উপকরণঃ
দুধ ১ লিটার, সেমাই ১ কাপ, চিনির সিরা ১ কাপ, ঘি ১ টেবিল-চামচ, বাদামকুচি ১ টেবিল-চামচ, কিশমিশ ১ টেবিল-চামচ।
প্রস্তুত প্রণালিঃ
সেমাই ঘি দিয়ে ভেজে নিতে হবে। দুধ জ্বাল দিয়ে অর্ধেক করে নিয়ে সেমাই ও চিনি দিন। সেমাইয়ে দুধ মিশে গেলে বাদামকুচি ও কিশমিশ দিন।

মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট, ২০১০

ডিমের চপ।

উপকরণ:
সেদ্ধ ডিম ৪টি, সেদ্ধ আলু ৩ কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, আদা কুচি ১ চা-চামচ, কাঁচামরিচ কুচি ১ টেবিল-চামচ, ডিম ২টি, টোস্টের গুঁড়া ১ কাপ, জিরা টালা গুঁড়া ১ চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, স্বাদ লবণ আধা চা-চামচ, তেল ২ টেবিল-চামচ, তেল (ভাজার জন্য) পরিমাণমতো, লবণ পরিমাণমতো।
কিভাবে রান্না করবেনঃ
গরম তেলে পেঁয়াজ, আদা বাদামি রং করে ভেজে কাঁচামরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নামাতে হবে। তেল ঝরিয়ে সেদ্ধ আলুর সঙ্গে মাখাতে হবে। গোলমরিচ ও জিরা গুঁড়া একসঙ্গে মাখিয়ে ৮ ভাগ করতে হবে। ডিম লম্বায় কেটে অর্ধেক করে আলুর মধ্যে অর্ধেক ডিম ভরে চপ ডিমের আকার করতে হবে। ২টি ডিম ফেটিয়ে চপ ডিমে ডুবিয়ে টোস্টের গুঁড়ায় গড়িয়ে ডুবোতেলে বাদামি রং করে ভাজতে হবে। ডিম চপ টমেটো সস, তেঁতুলের চাটনি দিয়ে পরিবেশন করা যায়।

সোমবার, ৯ আগস্ট, ২০১০

ইফতারির জন্য বেগুনি।

উপকরণঃ
ছোলার ডালের বেসন দেড় কাপ, চালের গুঁড়া আধা কাপ, মরিচ গুঁড়া আধ চা-চামচ, লম্বা বেগুন ১-২টি, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, বেকিং পাউডার ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ বাটা ১ চা-চামচ, রসুন বাটা আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, তেল (ভাজার জন্য) পরিমাণমতো।
কিভাবে রান্না করবেনঃ
বেগুন ও তেল বাদে বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে মিলিয়ে পানিতে দিয়ে থকথকে গোলা করে ১ ঘণ্টা ঢেকে রাখতে হবে। বেগুন পাতলা টুকরা করে কেটে সামান্য লবণ মাখিয়ে রাখতে হবে। কড়াইয়ে তেল গরম করে বেগুন বেসনের গোলায় ডুবিয়ে ডুবোতেলে ছাড়তে হবে। মচমচে বাদামি রং করে ভাজতে হবে। তেল থেকে উঠিয়ে কিচেন টাওয়েল অথবা কাগজের ওপর রাখতে হবে।

লইট্টা কেক।

উপকরণঃ
লইট্টা মাছ ৩০০ গ্রাম, আদা ও রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচামরিচ বাটা ১ চা-চামচ, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া সিকি চা-চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ৩ টেবিল-চামচ, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, ডিমের কুসুম ২টি, ডিমের সাদা অংশ ২টি, পাউরুটির গুঁড়া ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো, তেল ভাজার জন্য।
কিভাবে রান্না করবেনঃ
কাঁটা ছড়ানো লইট্টা মাছে ডিমের সাদা অংশ ও পাউরুটির গুঁড়া ছাড়া বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে মোটা রুটির মতো বেলে ঝাঁজরিতে (ভাপে) সেদ্ধ করতে হবে ২০ মিনিট। তারপর একটু ঠান্ডা হলে ছুরি দিয়ে চারকোনা করে কেটে ডিমের সাদা অংশে ডুবিয়ে পাউরুটির গুঁড়া মাখিয়ে ডুবোতেলে সোনালি করে ভেজে সালাদ দিয়ে পরিবেশন করা যায় মাছের কেক।

রবিবার, ৮ আগস্ট, ২০১০

ইফতারিতে হালিম।

মাংসের উপকরণঃ
হাড়সহ মাংস ৩ কেজি, এলাচ ৪টি, রসুন বাটা ২ চা-চামচ, লবণ ১ টেবিল-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, টক দই আধা কাপ, দারচিনি ৪ টুকরা, আদা বাটা ২ টেবিল-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরা বাটা ২ চা-চামচ, সয়াবিন তেল ১ কাপ, তেজপাতা ২টি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবঙ্গ ৪টি, ধনে বাটা ২ টেবিল-চামচ, চিনি আধা চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল-চামচ।
মাংস রান্নাঃ
মাংস হাড়সহ ছোট ছোট টুকরা করে সব উপকরণ দিয়ে মাখিয়ে কিছুক্ষণ রাখতে হবে।
৪ কাপ বা পরিমাণমতো পানি দিয়ে সেদ্ধ করে মাংস কষিয়ে নিতে হবে।
হালিম রান্নার উপকরণঃ
মুগডাল ভাজা আধা কাপ, পোলাওয়ের চাল ১ কাপ, মসুর ডাল আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল-চামচ, গম আধা ভাঙা ১ কাপ, তেজপাতা ২টি, রসুন কুচি ১ টেবিল-চামচ, মটর ডাল আধা কাপ, কাঁচা মরিচ ৭-৮টি, আদা কুচি ১ টেবিল চামচ, মাষকলাইয়ের ডাল ভাজা আধা কাপ, লবণ পরিমাণমতো, ছোলার ডাল পৌনে কাপ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, পুদিনাপাতা কুচি আধা কাপ, ধনেপাতা কুচি আধা কাপ।
প্রণালিঃ
গম ৫-৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে চাল-ডাল ধুয়ে সব উপকরণ একসঙ্গে পরিমাণমতো পানি দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। গম-ডাল ভালোভাবে সেদ্ধ হলে ঘুটে নিতে হবে। মাংস ঢেলে দিয়ে মৃদু আঁচে রান্না করতে হবে। পরিবেশনের সময় আদা কুচি, পেঁয়াজ বেরেস্তা, হালিমের মসলা, লেমন রাইন্ড, লেবুর রস, কাঁচা মরিচ কুচি, পুদিনাপাতা কুচি ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
হালিমের মসলার উপকরণ: ধনে গুঁড়া ৪ টেবিল-চামচ, একাঙ্গি সিকি ১ চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, দারচিনি ১ চা-চামচ, কালজিরা গুঁড়া হাফ চা-চামচ, মেথি ১ চা-চামচ, লবঙ্গ গুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, মৌরি ১ টেবিল-চামচ, শুকনা মরিচ ১২-১৪টি, সরিষা ১ টেবিল-চামচ, জিরা ২ টেবিল-চামচ, এলাচ ৬টি, রাঁধুনি ১ চা-চামচ।
প্রণালি: সব মসলা আলাদা গুঁড়া করে একসঙ্গে মিশিয়ে রাখতে হবে।

শনিবার, ৭ আগস্ট, ২০১০

ইফতারির জন্য ফ্রুট ককটেল।

উপকরণঃ
আপেল ২টি, বড় সাগর কলা ২টি, পাকা পেয়ারা ২টি, পাকা আম ২টি, আনারস টুকরা অর্ধেকটি, সবুজ আঙুর আধা কাপ, লাল আঙুর আধা কাপ, মাল্টা ২টি, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, বিট লবণ আধা চা-চামচ, চিনি ২ টেবিল-চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল-চামচ, সালাদ ড্রেসিং ২ টেবিল-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ বা পরিমাণমতো। সব ফল টুকরা করে কাটতে হবে। ইচ্ছামতো ফল ব্যবহার করা যায়।
কিভাবে রান্না করবেনঃ
গোলমরিচ গুঁড়া, বিট লবণ, চিনি, সালাদ ড্রেসিং ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে সব ফলের টুকরা দিয়ে মাখিয়ে রেফ্রিজারেটরে রেখে ঠান্ডা ককটেল পরিবেশন করতে হবে।

ইফতারিতে সবজি পেঁয়াজু।

উপকরণ:
মসুর ডাল আধা কাপ, মটর ডাল আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, গাজর কুচি সিকি ১ কাপ, বাঁধাকপি কুচি আধা কাপ, মটরশুঁটি কুচি সিকি ১ কাপ, আলু কুচি সিকি কাপ, ধনেপাতা কুচি সিকি কাপ, কাঁচা মরিচ কুচি ২ টেবিল-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, বেসন ২ টেবিল-চামচ, পুঁইপাতা কুচি আধা কাপ
কিভাবে রান্না করবেনঃ
ডাল ধুয়ে ৩-৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে বেটে নিতে হবে সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে ডুবোতেলে ভাজতে হবে গরম গরম পেঁয়াজু পরিবেশন

শুক্রবার, ৬ আগস্ট, ২০১০

ইফতারির জন্য ছোলা ঘুগনি।

উপকরণঃ
ছোলা ২ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ৪ টেবিল-চামচ, আদা বাটা ১ চা-চামচ, রসুন বাটা আধা চা-চামচ, জিরা বাটা আধা চা-চামচ, ধনে বাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, কাঁচামরিচ ৫-৬টি, লবণ পরিমাণমতো, তেল ৩ টেবিল-চামচ, তেজপাতা ২টি, দারচিনি ২ টুকরা, এলাচ ২টি।
কিভাবে রান্না করবেনঃ
ছোলা ৫-৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে সেদ্ধ করতে হবে। তেল গরম করে সব বাটা ও গুঁড়া মসলা কষিয়ে ছোলা দিয়ে ভুনতে হবে। পর্যায়ক্রমে বাকি উপকরণ দিয়ে কষিয়ে অল্প পানি দিয়ে রান্না করতে হবে। তেলের ওপর এলে চুলার আঁচ কমাতে হবে। ছোলা ঘুগনি শসা কুচি, টমেটো কুচি, পেঁয়াজ কুচি, চাট মসলা দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

বৃহস্পতিবার, ৫ আগস্ট, ২০১০

রূপচাঁদা কাবাব

উপকরণঃ
রূপচাঁদা মাছ ৪০০ গ্রাম, লেবুর রস ১ টেবিল-চামচ, আদা বাটা ১ চা-চামচ, রসুন বাটা ১ চা-চামচ, ডিম ১টি, কাঁচামরিচ বাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, সয়াসস ১ টেবিল-চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো ও তেল প্রয়োজনমতো। সালাদ ইচ্ছামতো।
কিভাবে রান্না করবেনঃ
মাছ পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে ছুরি দিয়ে একটু চিরে দিতে হবে। এবার লবণ ও লেবুর রস মাখিয়ে রাখতে হবে ৫ মিনিট। তারপর সব মসলা দিয়ে মাখিয়ে ৩০ মিনিট মাছ ফ্রিজে রাখতে হবে। এরপর কাঠ কয়লার আগুনে ৭-৮ মিনিট সোনালি রং করে ঝলসে নিতে হবে এপিঠ-ওপিঠ অথবা শিকে গেঁথে ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে ওভেনে ১৫ মিনিট বেক করতে হবে। মাঝেমধ্যে মাছের ওপর তেল ব্রাশ করে দেওয়া যেতে পারে। শসা, টমেটো ও চাটনি দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করা যায় মাছের কাবাব।

বুধবার, ৪ আগস্ট, ২০১০

কোরাল মেয়োনেজ।

উপকরণঃ
কোরাল মাছ ৭-৮ টুকরো, মেয়োনেজ আধা কাপ, ময়দা ২ টেবিল-চামচ, মাখন আধা কাপ, দুধ আধা কাপ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ঢ্যাঁড়স ৭-৮টি (আস্ত), টমেটো ১টি, কাঁচামরিচ ৪-৫টি (ফালি) গোল গোল করে কাটা পেঁয়াজ ১টি (বড়), লবণ স্বাদমতো লেবুপাতা ৪-৫টি
কিভাবে রান্না করবেনঃ
মাছে লবণ ও গোলমরিচ গুঁড়া মাখিয়ে মাখন দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে একটি বাটিতে মেয়োনেজ, ময়দা, গোলমরিচ গুঁড়া, ১ টেবিল-চামচ দুধ, ও মাখন দিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করতে হবে তারপর একটি স্টিলের (ঢাকনাযুক্ত) বাটিতে ১ চা-চামচ মাখন মাখিয়ে এর মধ্যে ভাজা মাছগুলো ঘন মিশ্রণে মেখে বাটিতে সাজিয়ে দিতে হবে ঢ্যাঁড়স, টমেটো, পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ মিশ্রণে মেখে মাছের ওপর সাজিয়ে দিতে হবে এবার ঢাকনা বন্ধ করে প্রেসার কুকারে ভাপে সেদ্ধ দিয়ে ৩টি হুইসেলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ঠান্ডা হলে সাজিয়ে পরিবেশন করুন

মঙ্গলবার, ৩ আগস্ট, ২০১০

ফালুদা।

উপকরণ:
নুডলস, জেলি, দুধ, আইসক্রিম, চিনি, বরফ, বাদাম, কাঠ বাদাম।
প্রণালি:
প্রথমে নুডলস তৈরি করে নিতে হবে। তারপর পরিমাণমতো দুধ, আইসক্রিম, চিনি, বরফ, বাদাম ও কাঠ বাদাম নিয়ে ব্লেন্ডারে মিশ্রণ করতে হবে। পরে সবগুলোর মিশ্রণ ও নুডলস দিয়ে আপনার পছন্দের রঙের জেলি দিয়ে পরিবেশন করুন।

সোমবার, ২ আগস্ট, ২০১০

চিকেন চারগা।

উপকরণ:
দুই কেজি মুরগি, কাবাব মসলা (১২ রকম), আলু বোখারা, টক দই, শুকনা মরিচ গুঁড়া, আদা বাটা, রসুন বাটা।
প্রণালি:
উপকরণগুলো দিয়ে মুরগি ভালোভাবে মেখে কমপক্ষে দুই ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। মসলার উপকরণগুলো ভালোভাবে মুরগির সঙ্গে মিশে গেলে ডোবা তেলে ভেজে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইসহ পরিবেশন করতে হবে।
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...