"বাংলাদেশি রান্না"

এ ব্লগটিতে আপনারা আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রচলিত খাবার, পাণীয়,পিঠা সহ বিভিন্ন অনুষ্টানে বিয়ে, ঈদ, রমজান, পূজায় সচরাচর যে সকল খাবার রান্না করা হয় সে সব খাবারের রেসিপি পাবেন।

মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১০

পুরভরা হাঁস।

উপকরণ:
হাঁস (মাঝারি) ১টি, আদাবাটা ২ টেবিল-চামচ, রসুনবাটা ১ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজবাটা ৪ টেবিল-চামচ, শাহি জিরাবাটা আধা চা-চামচ, জায়ফল-জয়ত্রিবাটা আধা চা-চামচ, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল-চামচ, দারচিনি ২ টুকরা, এলাচ ৪টি, লবঙ্গ ৫-৬টি, সাদা গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, টক দই ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, তেজপাতা ২টি, চিনি ১ টেবিল-চামচ, কাঁচা মরিচ ৫-৬টি, কিশমিশ ১ টেবিল-চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল বা ঘি ১ কাপ (প্রয়োজনমতো)।
পুরের জন্য দরকার:
শুকনো মরিচ ৪টি, বেরেস্তা ২ টেবিল-চামচ, জিরা ১ চা-চামচ, গোলমরিচ ৮-১০টি, লবঙ্গ ৪-৫টি, দারচিনি ২ টুকরা, এলাচ ২টি। সব উপকরণ ২ চা-চামচ তেল দিয়ে ভেজে এবং বেটে একটি পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এ ছাড়া আস্ত পেঁয়াজ ৫-৬টি, সেদ্ধ ডিম ১টি। পুরের সব উপকরণ হাঁসের পেটে ঠেসে ঠেসে ভরে দিয়ে সুতা দিয়ে বেঁধে দিতে হবে।
প্রস্তুত প্রণালি:
আস্ত হাঁস একটু কেঁচে নিয়ে লবণ, টক দই ও সামান্য জাফরান রং মাখিয়ে ঘি দিয়ে হালকা বাদামি করে ভাজতে হবে এবং হাঁসটি অন্য একটি পাত্রে তুলে রাখতে হবে। সসপ্যানে আরও কিছু ঘি দিয়ে সব বাটা মসলা কষে পরিমাণমতো পানি দিতে হবে। পানি ফুটে এলে তাতে ভাজা হাঁসটি দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। মাংস সেদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচ, কিশমিশ, বাদামকুচি দিয়ে গোলাপ ও কেওড়াজলে জাফরান দিয়ে মিশিয়ে দিতে হবে। বাকি সব উপকরণ দিয়ে ১৫ মিনিট ঢেকে দমে রাখতে হবে। সবশেষে পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে সুতার বাঁধন খুলে পরিবেশন করা যায় মজাদার পুরভরা হাঁসের রোস্ট।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...